পানি ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত সরকারী নীতিমালার আলোকে পানির উৎস স্থাপন, মেরামত, পরীক্ষামূলক নলকুপ স্থাপন, উৎপাদক নলকুপ স্থাপন, পানির পাইপ লাইন নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা তৈরী ও বিক্রয়, আর্সেনিক মিটিগেশন, আর্সেনিক পরীক্ষা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি কার্যক্রম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর করে থাকে।
- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূণ সংস্থা। নিরাপদ পানি সরবরাহে মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের দায়িত্ব অর্পণ করে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপিএইচহ (dphe)। পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে এর সাথে যুক্ত করা হয় স্যানিটেশন সেবা প্রদান দায়িত্ব ।
- বর্তমানে ওয়াসার আওতাধীন এলাকা ব্যতীত সমগ্র দেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নির্মাণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত ।
- জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।
- পল্লী এলাকার বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস ( টিউবওয়েল ) ও স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনাগুলোর রক্ষাণবেক্ষন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব ।
- পল্লী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মানোত্তোর রক্ষাণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদকে W ATSAN কমিটির মাধ্যমে কারিগরি সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্য পরিচর্যা জোরদারকরণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে ।
- এছাড়া বন্যা, সাইক্লোন, মহামারী ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সৃষ্ট জররী পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্থবায়ন করে আসছে ।
- এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কভারেজের দিক দিয়ে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম শীষ স্থান দখল করে আছে ।